ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে ‘গরীবরা আইনের সহায়তা থেকে বঞ্চিত’ এ অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রুমিছা আক্তার নামে অসহায় এক গৃহবধু। সোমবার সকাল ১০টায় রাজাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। রুমিছা আক্তার উপজেলার নৈকাঠি এলাকার মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদারের স্ত্রী।
রুমিছা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানায়, গত ৪ নভেম্বর সকালে সাতুরিয়া এলাকার স্বাধীনতা বিরোধী কুখ্যাত রাজাকার মিল্লাত হোসেন জমাদ্দারের মেয়ে বর্তমানে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে কর্মরত বিউটিশিয়ান চন্দ্রিমা রিমু রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নির সহায়তায় ভাড়া করা এক থেকে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্র রামদা, দাও, লোহার রড় নিয়া রুমিছার স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করে তাদের সবাইকে মারধর করে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। রিমু তারা ভাড়া করা লোকজন দিয়ে রুমিছার ২০ বছরের পুরনো বসতঘর ভাংচুর করে মাটিতে গুড়িয়ে দেয়। এরপরে ঘরে থাকা সমস্ত মূল্যবান মালামাল লুট করে পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যায় রিমু। স্থানীয়রা তাদের অস্ত্রের মূখে সামনে আসতে না পেরে দূর থেকে তারা ভংচুরের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেয় যাহা দেশবাসী দেখেছেন।
ঘটনা পরে মামলা দিতে রুমিছার পরিবার থানায় গেলে পুলিশ প্রথমে মামলা নিতে চায়নি। পরে মামলা নিলেও পুলিশ নিজেরা দরখাস্ত লিখে তাদের না দেখিয়ে স্বাক্ষর নেয়। তারা মূর্খ মানুষ মামলার কিছুই বুঝেনা। পরে মামলার কাগজ লোকজনকে দেখাইলে তারা জানায় থানায় চুরির মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের বেলায় তাদের সবাইকে বেধে রেখে সবার সামনে ভাংচুর করে মালামাল লুট করে নিয়ে গেলে সেখানে কার ইশারায় পুলিশ ভাংচুর ও লুটের ঘটনাকে চুরির মালা হিসেবে রেকর্ড করল তাদের জানা নেই। আইন কি শুধু টাকা ওয়ালাদের জন্য? গরীবরা কি সঠিক বিচার পাবনা? তারা গরীবরা আইনের সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
রুমিছ আক্তার আরো জানায়, বসতঘর ভাংচুরের পর থেকে খেলা আকাশের নিচে শীতের মধ্যে পরিবার নিয়ে রয়েছি। বসতঘর ঠিক করার আগেই রাজাকার নাতনী ঐ চুরি জামিনে নিয়ে ৭ নভেম্বর বিকালে আমার জমিতে গিয়ে ১৪৫ জারি করে। এছাড়াও রুমিছার পরিবারকে রুন করাসহ বিভিন্ন ধরনে হুমকি দিয়ে আসছে। রাজাকার নাতনী তাদের মাথা গোজার ঠাই নিশ্চিহ্ন করেছে। এখন রুমিছাদের দুনিয়া থেকে চিরতরে শেষ করার পায়তারা করছে। তরা এই রাজাকার পরিবারের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কমনা করছেন।